অনলাইনে আয়ের নতুন ফ্লিপকার্ট? ঘরে বসে ফ্লিপকার্ট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন

বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় একটি ইনকাম এর মাধ্যম হচ্ছে ফ্লিপকার্ট। আপনারা চাইলে এই ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে বিক্রি করার পাশাপাশি।

এই কোম্পানি থেকে এফিলিয়েট করার সময় বা অন্যান্য সিচুয়েশনেও কেনা-কাটার কাজ গুলো সেরে ফেলতে পারবেন সহজে।

ফ্লিপকার্ট একটি ই বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ যা, ভারতীয় সংস্থা। এখান থেকে আপনি বিশ্বের যে কোন স্থানে বসে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

সেই সঙ্গে ফ্লিপকার্ট এর অনুমোদিত প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে বেশি একটা জটিল প্রসেসের সম্মুখীন হতে হবে না। সহজ প্রক্রিয়াতে আপনারা অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন flipkart থেকে।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেবো। ঘরে বসে flipkart থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। এখন আপনি যদি ইনকামের বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তাহলে নিচে দেওয়া আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে করুন।

ফ্লিপকার্ট কি ?

ফ্লিপ-কার্ট হচ্ছে ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি সংস্থা। যা সাধারণত আমাজন এর মত ভারত সহ সারা পৃথিবীতে দেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন কয়েক হাজার ওয়ার্ডের সর্বদা হওয়া ঠিকঠাক মত পরিচালনা করতে, এই কোম্পানিতে আছে অসংখ্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। শচীন বানসাল ও বিন্নি বানসাল এর হাত ধরে শুভযাত্রা শুরু করে এই কোম্পানিটি। যা প্রথম অবস্থায় বই বেক্তি শুরু করেছিল 2007 সালের অক্টোবর মাসে।

আরো পড়ুনঃ মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

ভারতের বৃহত্তম ই বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট স্বীকৃতি পায়। এই ফ্লিপ-কার্ট অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট। মোটামুটি বেশ ভালো কাজ করেছে এই ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইট। বর্তমান সময়ে আমেরিকান খুচরা সংস্থা ওয়ালমার্ট এর কাছে হস্তান্তর বা সেল করা হয় এই ফ্লিপ-কার্ট। তারা মূলত ৭৭ পার্সেন্ট শেয়ার ক্রয় করেন।

ফ্লিপকার্ট কিভাবে কাজ করে ?

ফ্লিপকার্ট মূলত অনলাইন প্রোডাক্ট সেলিং এর কাজ করে থাকে। এই কোম্পানিটি সর্বপ্রথম বইবৃত্তি দিয়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করলেও পরবর্তীতে তারা ল্যাপটপ ব্যাগ, ট্যাবলেট, ইউ এস ডি ড্রাইভ বিক্রি করা শুরু করেন। সর্বশেষ তারা সিদ্ধান্ত নেন প্রতিটি বিভাগের জন্য প্রোডাক্ট বিক্রির ব্যবস্থা করবে এবং সেটি চলমান রয়েছে। সকল প্রকার ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে, তারা তাদের প্রতিটি প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে সহজেই পৌঁছে যায়।

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ফ্লিপ-কার্ট এর নিজস্ব লজিস্টিক সার্ভিস আছে। যার নাম হল ইন কার্ট। অনলাইন বিজনেস এর গুরুত্ব পূর্ণ দিক হচ্ছে, গ্রাহকদের সময় মত প্রোডাক্ট ডেলিভারির দিতে সক্ষম কিনা এছাড়া তাদের কাছ থেকে পেমেন্ট কালেকশন করার মিডিয়া/ মাধ্যম কি। এদিক দিয়ে ফ্লিপকার্ট হচ্ছে, সবথেকে জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে গ্রাহকরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী, আনন্দের সঙ্গে নিজের ঘরে বসে কেনাকাটা করার সুযোগ পায়।

ফ্লিপকার্ট থেকে কিভাবে শপিং করবেন ?

আপনি যদি ফ্লিপকার্ট থেকে অনলাইন শপিং করতে চান তাহলে সরাসরি ফ্লিপ-কার্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আর এই ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো- flipcart.com. আপনারা এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনারা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপিং নিজের ঘরে বসেই করতে পারবেন।

ফ্লিপকার্ট থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন ?

এখন আপনার যদি প্রশ্ন হয়ে থাকে, ঘরে বসে ফ্লিপ-কার্ট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, ফ্লিপকার্ট থেকে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। তো আসুন জেনে নেয়া যাক। ফ্লিপকার্ট থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

ওয়েবসাইট তৈরি করে

আমরা প্রত্যেকে জানি আমাজন এফিলিয়েট ওয়েবসাইট সম্পর্কে। ফ্লিপ-কার্টের প্রোডাক্ট সেলিং এর জন্যও আপনি সেই প্রসেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট কে কাজে লাগাতে পারবেন। কিন্তু flipkart এর সুবিধা হচ্ছে এখানে ওয়েবসাইট নিয়ে কোন ঝামেলা করতে হয় না। কিন্তু আপনি যদি আমাজনের প্রোডাক্ট ওয়েবসাইটে সেল করতে চান? সে ক্ষেত্রে আমার জন্য ওয়েবসাইট অ্যাপ্রভাল না হওয়া পর্যন্ত করতে পারবেন না। যার ফলে হয়তো আপনার আমাজন ওয়েবসাইট নাও হতে পারে। আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য নিস রিলেটেড নির্বাচন করা কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিকাশটি করতে পারলে আপনাকে অতিরিক্ত পরিমাণ সেল করাতে সহায়তা করবে বলে আশা করছি। সেসঙ্গে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করার জন্য ডোমাইনের পাশাপাশি হোস্টিং সার্ভিস গ্রহণ করতে হবে। আপনার ডোমেন হোস্টিং নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর। ওয়েবসাইটে এসইও করে, ওয়েবসাইট লিংকগুলোকে অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সেখান থেকে যদি কেউ আপনার লিংকে ক্লিক করে এবং কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে। সে ক্ষেত্রে আপনি সেই বিক্রির উপর কমিশন পেয়ে যাবেন। আশা করছি আপনারা ফ্লিপ-কার্ট থেকে খুব সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করে। সেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিভিউ দিয়ে বিক্রি করতে পারলে ইনকাম করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে

Flipkart এর প্রোডাক্ট সেল করতে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো সহায়তা নিতে পারবেন। যাদের ফেসবুক পেজ গুলোতে হিউজ পরিমাণের অডিয়েন্স রয়েছে। তারা অন্যান্য বিষয়গুলো প্রমাণ করার মত, ফ্লিপকার্টের প্রোডাক্টগুলো প্রমাণ করতে পারবেন। আর যাদের অধিক পরিমাণ এর অডিয়েন্স নেই এবং ওয়েবসাইট তৈরি করার মত সামর্থ্য নেই। তারা ফেসবুক বুস্ট করেও ফ্লিপকার্টের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি পোস্ট করে ফ্লিপ-কার্টের প্রোডাক্ট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন এক্ষেত্রে আপনার অর্থের ব্যয় অনেকটা কম হবে। যা থেকে আপনি বেশ ভালো করে মানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, flipkart এর প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করে।

ইউটিউব থেকে

বর্তমান সময়ের যারা ইউটিউবে করছেন্ তারাও ফ্লিপ কার্টের প্রোডাক্ট প্রমোশন করে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি ইউটিউবের মাধ্যমে ফ্লিপ কার্টের প্রোডাক্ট গুলো প্রচার করেন এবং বিক্রি করেন। তার ক্রেতা হবে আপনার youtube চ্যানেলের অডিয়েন্স। রা আপনার ইউটিউব ভিডিওতে, ফ্লিপ কার্টের প্রোডাক্ট গুলোর লিংক যুক্ত করে দিবেন। সে লিঙ্কে ক্লিক করে কোন অডিয়েন্স যখন প্রোডাক্টগুলো কিনতে আগ্রহী হবে।

অর্থাৎ প্রোডাক্টগুলো কেনার জন্য অর্ডার করবে। তখন সেখান থেকে যে, লভ্যাংশ আসবে তার কিছু অংশ আপনি কমিশন হিসেবে পেয়ে যাবেন। আপনি যদি flipkart গুলো ইউটিউবে রিভিউ দিয়ে বিক্রি করতে পারেন। তাহলে সব থেকে বেশি পরিমাণ টাকার রোজগার করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আশা করছি, আমাদের লেখা আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বুঝতে পারলেন কিভাবে ফ্লিপ কার্ট থেকে অনলাইন শপিং করতে হয় এবং কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হয়। সেই সাথে আশা করছি আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লাগছে। আপনার সেই ভালো-লাগা থেকে একটি ভালো কমেন্টের আশা করছি। আর এরকম অনলাইন ইনকাম রিলেটেড নতুন নতুন আর্টিকেল করতে, আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.