ওয়েব হোস্টিং কি? কেন ওয়েব হোস্টিং প্রয়োজন? প্রকার, দাম, কোম্পানী, বিস্তারিত এখানে

আপনি যদি ব্লগিং, ব্যবসা বা কোন প্রতিষ্ঠানের হন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? প্রথমত আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কি এ বিষয়ে জানতে হবে। 

আমরা ইতোপূর্বে আলোচনা করেছিলাম কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন, ব্লগিং শুরু করার জন্য হোস্টিং সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। 

কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শুধুমাত্র ওয়েব হোস্টিং কি ? এবং হোস্টিং কত প্রকার এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলবো। আশা করব আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে ওয়েব হোস্টিং কাকে বলে এবং  ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ওয়েব হোস্টিং কাকে বলে?

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে সর্বপ্রথম ওয়েব হোস্টিং কাকে বলে এ বিষয়ে জেনে নিতে হবে। ইউকিপিডিয়ার মতামতে একটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস এমন একটি ইন্টারনেট হোস্টিং সার্ভিস। যা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর মাধ্যমে এক্সেস করতে সহায়তা করে।

তার মানে ওয়েব হোস্টিং হলো একটি স্পেস বা জায়গা। যেখানে ওয়েবসাইটের মালিকগণ তাদের ওয়েব আর্টিকেল থেকে শুরু করে, সকল প্রকার ফাইল সংগ্রহীত করে রাখে। ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে গেলে, আপনার একটি হোস্টিং সার্ভিস প্রয়োজন হবে।

কারণ হোস্টিং ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের শো করাতে পারবেন না। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়েব হোস্টিং কোথায় থেকে কিনতে হবে। সে বিষয়ে আমরা পূর্বের আর্টিকেলে জানিয়ে দিয়েছি। আপনার চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

আরও পড়ুন: মেয়েদের জন্য অনলাইন জব

ওয়েব হোস্টিং কেন প্রয়োজন?

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন হোস্টিং কেন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বলতে চাই, আপনি যদি হোস্টিং ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে যেকোনো তথ্য আপলোড করার পরে সেগুলো সরাসরি হোস্টিং সার্ভারে সেভ হয়।

আমাদের কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় যেমন হার্ডডিস্ক কে সকল ফাইল সংগ্রহিত থাকে ঠিক সেরকমভাবে ওয়েব হোস্টিংয়েও ওয়েবসাইটের সকল ডাটা সংরক্ষিত থাকে। তার জন্যই মূলত হোস্টিং প্রয়োজন।

ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার?

উপরের আলোচনায় ওয়েব হোস্টিং কাকে বলে এবং হোস্টিং কেন প্রয়োজন সে বিষয়ে জানতে পারলেন। এখন আমি আপনাদের সুবিধার্থে এখানে ওয়েব হোস্টিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বলব। তো চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।

আরও পড়ুন: রেফার করে আয় করার উপায়- অথর আর্নিং রেফার প্রোগ্রাম থেকে ডেইলী ১০০০ টাকা ইনকাম করুন

ফ্রি ওয়েব হোস্টিং

ওয়েব হোস্টিং এর মধ্যে ফ্রি হোস্টিং জনপ্রিয়। এ ফ্রী হোস্টিং প্যাক উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে কোন প্রকারের টাকা খরচ করতে হবে না সম্পূর্ণ ফ্রিতে হোস্টিং সার্ভিস পাবেন। ফ্রি হোস্টিং এর সীমাবদ্ধতা আপনি যদি ওয়েবসাইট পরিচালনা করার জন্য ফ্রি ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করতে চান? সেক্ষেত্রে এই ধরনের হোস্টিং এ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ফ্রি সার্ভিস মানে একটু ঝামেলা সম্পন্ন।

যার ফলে মানুষ অল্প কিছু পরিমাণের টাকা খরচ করে পেইড হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করে থাকে। তো ফ্রি হোস্টিং সার্ভিসের যেহেতু কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে ব্যান্ডউইথ, মাসিক ভিজিটর, ডিস্ক স্পেস ইত্যাদির সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা অতিক্রম করলে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় বিশেষ করে সাইট ডাউন হয়ে যায়।

আর ওয়েবসাইট যদি ডাউন হয়ে যায় তখন কোন ভিজিটর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে না। এক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হয়, এই ধরনের ফ্রি হোস্টিংগুলো ব্যবহার করলে নিরাপত্তার ব্যবস্থায় খুবই দুর্বল থাকে। আপনারা ফ্রি ওয়েব হোস্টিং  ব্যবহার করলে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাবেন না। এক্ষেত্রে আপনি যদি ব্লগিং সেক্টরে নতুন কাজ শিখতে চান? সেক্ষেত্রে ফ্রি ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করে, প্র্যাকটিস করতে পারেন।

আরও পড়ুন: লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট - বাংলা লিখে ইনকাম করুন আজ থেকেই

শেয়ারড হোস্টিং

বর্তমান সময়ে ব্লগারদের জন্য জনপ্রিয় একটি হোস্টিং সার্ভিস হলো- শেয়ারড হোস্টিং। শেয়ারড হোস্টিং বিশ্বের বেশিরভাগ ব্লগাররা ব্যবহার করা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রফেশনাল ওয়েবসাইটে যে সকল সার্ভিস বা সুবিধা প্রয়োজন হয়। তার সবকিছুই এই শেয়ারড হোস্টিং হোস্টিংয়ের মধ্যে রয়েছে।

এখানে একাধিক ওয়েবসাইটের ডাটা সংরক্ষিত করে রাখতে পারে। এবং খুবই কম খরচে এই শেয়ারড হোস্টিং সার্ভিস কিনে নিতে পারবেন। প্রতি মাসিক ভিত্তিতে বাৎসরিক ভিত্তিতে।

কিন্তু, শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও কিছু লিমিট রয়েছে। ফ্রী হোস্টিং এর মত এখানেও ইমেইল, ব্যানউইথ,  ডাটাবেজ ইত্যাদি ব্যবহার করার সময় সীমাবদ্ধতা থাকবে। কিন্তু এটি ফ্রি ওয়েব হোস্টিং এর থেকে জনপ্রিয়। আর এই সার্ভিস ব্যবহারকারীর মাধ্যমে, কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

শেয়ারড হোস্টিং সার্ভিস নেওয়ার পর আপনারা সিকিউরিটি ভালো মানের পেয়ে যাবেন। আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে কোন টেকনিকাল সমস্যা দেখা দিলে। হোস্টিংদের সাথে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিকভাবে, সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।

রিসেলার হোস্টিং

রিসেলার হোস্টিং হচ্ছে নিজের ডিস স্পেস অন্যের সাথে শেয়ার করা। আপনার কোন সার্ভারে অন্য কাউকে ফাইল রাখার অনুমতি, টাকার বিনিময়ে দেয়ার মাধ্যমে, যে প্রক্রিয়ায় হোস্টিং ব্যবহার করা হয়, তাকে মূলত রিসেলার হোস্টিং বলে।

এখানে হোস্টিং প্যাক দুই প্রক্রিয়ায় বিক্রি হয়। আপনি নিজে একবার কিনবেন। অন্যের কাছে আবার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করবেন।

ডেডিকেটেড হোস্টিং

ডেডিকেটেড হোস্টিং  অনেক ব্যয়বহুল সার্ভিস। আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটের আকার বড় করে তৈরি করতে চান। এবং প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে চান সেক্ষেত্রে, আপনার দরকার হবে ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভিস।

বর্তমান সময়ে google, facebook ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলো ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করছে। কারণ এখানে হিউজ পরিমাণে ভিজিটর আসলে, ওয়েব সাইট ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। নিশ্চিন্তে ওয়েবসাইট পরিচালনা করা যায়।

ম্যানেজড হোস্টিং

ম্যানেজড হোস্টিং  এমন একটি জনপ্রিয় হোস্টিং সার্ভিস। আপনি যদি এটি ব্যবহার করেন তাহলে হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে দিবে। আপনার তেমন কোন কাজ করতে হবে না, যার প্রতিটি কাজ হোস্টিং কোম্পানি করবে যেমন- সার্ভার মেন্টেন, কনফিগারেশন, সার্ভার স্টপ সফটওয়্যার ইন্সটল সবকিছুই হোস্টিং কোম্পানি করে দেবে।

আনম্যানেজড হোস্টিং

আনম্যানেজড হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করে আপনারা সম্পূর্ণ কন্ট্রোল নিজের হাতে নিতে পারবেন। বিশেষ করে- সার্ভার মেন্টেন, কনফিগারেশন, সার্ভার স্টপ সফটওয়্যার ইন্সটল সবকিছুই নিজেই করতে পারবেন। যার ফলে আপনার অনেক অর্থ বেঁচে যাবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা উপরের আলোচনায় আপনারা হয়, ওয়েব হোস্টিং কাকে বলে? এবং ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার ও কি কি সে বিষয়ে জানতে পারলেন। কিন্তু আমরা আপনাকে সব থেকে জনপ্রিয় ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। এখন এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.